ছবি, যা আমাদের চোখের সামনে থাকে। চোখের সামনে কে থাকে? কি থাকে? কি কি থাকতে পারে আমাদের? ময়ূর-ময়না-টিয়া-মানুষের রঙ-ছন্দ-নাচভঙ্গিমা, আমাদের ঘরদোর, উঠান, উঠানে উঠানে হাঁস-মোরগের দৌড়াদৌড়ি-কোলাহল, আর রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ের নাচানাচি, আর এসবের সঙ্গে মানুষের বহুজনমের শ্রমসাধ্যের সামনে-পেছনের আরেক বর্তমান, — কোনো নাম কিংবা নামহীনতায় যা কিনা তুমি-আমি-আমরা বা আমাদেরই অন্যকেউ হয়তোবা। আর এসবের কিচ্ছু না ভেবেও, রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে গাছের শাখা-বাহু-প্রশাখার নাচ-ছন্দকে দেখিয়ে, কিংবা না দেখিয়েও শুধুমাত্র কোনো শূন্য উঠানের ঝড়ো দশাটিকেও যদি আঁকা হয় আর তা রেখা-রঙে আরো বহু ঝড়ের আলোড়ন তোলে। অর্থাৎ যে কোনো দৃশ্যের বা দৃশ্য-টুকরার যে কোনো একটি দশার প্রকাশে আমাদের কমিউনিকেশন — আন্তকমিউনিকেশন। স্তরে স্তরে এই কমিউনিকেশন একটা শূন্য উঠান হয়ে যে কোনো অস্তিত্বের নিবিড়তম জায়গাটিকে ধরেই পুরো পৃথিবী বা পুরোটা রব ও নিরবধিকালের ঝড়ো দশাটিকে প্রকাশ করে। কমিউনিকেশন বিষয়টি এমনই। কমিউনিকেশনের ছবি যে কোনো দৃশ্যের ভেতরের সাউন্ড কিংবা চিৎকারকেও ছড়িয়ে দেয়। এই চিৎকার আমাদেরকে শুধু কাছেই টানে না, দূরেও সরিয়ে দিতে পারে। আর দেশ ছেড়ে, বর্ডার ক্রস করছে সত্তুর বছরের যে বৃদ্ধা নিরবালা, তার চোখে-মুখের ভয় আর অনিশ্চয়তার ইতি-উতি রেখায় ফুটে উঠছে জীবনের যে বাস্তবতা — তাকে নিয়ে লেখা ছবিটা নিশ্চয়ই শুধুমাত্র টাঙিয়ে বা ঝুলিয়ে রাখবার জন্য নয়। এর আঁকিয়ে এবং দর্শক দু’জনেরই দায়িত্ব থাকে এমন দশাকে বদলাবার, রঙে-রেখায় বৃদ্ধার চোখের মুখের বাস্তবতাটাকে অনুভব-জাগ্রত কমিটমেন্টে আনবার জন্য তার সত্যটুকু দেখিয়েই। আঁকবার বিষয়টি হয়তোবা এমন, ছবি যে আঁকে সে নিজে আগে এমন রূপ কখনোই দেখে নাই। তাই সে আঁকতে আঁকতে দেখে, নাহয় দেখতে দেখতে আঁকে। তাই তার সামনে যা থাকে তা জীবন এবং এই জীবন থেকে নাহয় জীবনের দশার থেকেই আঁকে। তাই জীবন না বদলালেতো রঙ-রেখা বদলায় না, আবার রঙে-রেখায় স্বপ্ন-সাধ-ইচ্ছাটুকু না জাগালেতো জীবনও সজ্জিত হয় না। জীবন সজ্জিত করার কাজটিই শিল্পীর। আর জীবন সজ্জিত হবার সামনে-পিছনে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে আরো নিভৃত আরো গোপন সাধ-স্বপ্নের দায় জন্মাতে পারে। তা কখনো মাটির গভীরে কবরতলার অন্ধকারটুকুর সাথে চাঁদ-নক্ষত্রের দূরত্ব ঘোঁচাবার সাধ-ইচ্ছাও হতে পারে। এই সাধে, ব্যবধানটুকুর মাঝখানে ভূভাগের গাছপালা লতা-গুল্ম-জলে অসংখ্য-অসংখ্য বিপুল প্রাণসম্ভার। ঘুম জাগাবার, ঘুম ভাঙ্গাবার সুরে-অসুরে রঙে-রেখায় আলো-আঁধারির সমূহ প্রস্তুতি চলতে থাকে। তাই জীবন সজ্জিত করার প্রেমে যে কোন অসাধ্যতার বিপরীত সংগ্রাম রচনার ইচ্ছাটি, এবং সেই ইচ্ছার প্রকাশটি ঘটাবার জন্যই তো ছবিটা আঁকতে চাওয়া। আমরা দেখতে পাই সাগরতলার গভীরে কতোশতো আলো-অন্ধকারের গতি। রূপ। আর এই রূপ ও গতির সম্ভাবনাকে ভূমিভাগে জাগ্রত করবার দায়িত্ব শিল্পীরই। রাষ্ট্রনীতিরও। রাষ্ট্রনীতি প্রতিকূলে থাকলে তা ভাঙ্গবার দায়িত্ব মানুষের। শিল্পীও মানুষ-সকলের একজন। আর ছবিটা আঁকবার জন্য রঙ-রেখায় সৃষ্টির রক্ত-পুঁজ ঢাকতে নেই, তা ঢাকতে চাইলে স্বপ্ন আরো শরীর ও চোখ-বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। রক্ত-পুঁজের ব্যথা ও ব্যথার চিৎকারটুকু রঙে-রেখায় প্রকাশিত হবে প্রাণ জাগাবার এক অনিবার্য সাধ ও স্বস্থি গঠনে। জীবনে, চুলার হাঁড়িতে লোনা কিংবা মিঠে জলের সাদা মাছের সাথে ক্ষেতের সবজির দেখা হলো যে আগুনে, এসবের একসাথে সিদ্ধ হবার তাপ ও ভাঁপটুকু ছড়িয়ে পড়েছে শিল্পী ও পাচকের মুখে। মুখে মুখে ঘামের ফোঁটাগুলি শুকাবার সাথে সাথে মুখ জুড়াবার ইচ্ছাটুকুও ছবিতে-ছবিতে ফুটে ওঠতে পারে। তবে, রঙ ও রেখা কি তার উত্তাপটুকু স্পর্শে আনে? সূর্যের ছবিটা তখনই জাগ্রত হয় যদি তাপটুকু দর্শকের মুখে লাগে। এই তাপটুকু প্রথমে লাগে শিল্পীরই মুখে, শিল্পীরই চোখে। চোখে-মুখে। গাছের নিথর ছায়াটুকু আঁকা হলে তার ছায়ায় আমরা কতোটা জিরোতে পারবো? যদি শিল্পী ছবি আঁকতে যেয়ে গাছ থেকে মাটি-বাতাস ও সূর্যকে প্রত্যক্ষ ছিন্ন করে! শুকনা নদীকে আরো মাঠ-ছাড়া করে তাকে ছবিতে বা ক্লিনিকে ডেকে বর্ষার জাগরণের জন্য চোখের চিকিৎসার বন্দোবস্তটা কেমন হবে? তোমার বাড়িতে পৌঁছাবার জন্য মরা গাঙ্গের উপর ব্রীজ বানানো যাবে। কিন্তু তোমাকে বেঁধে রেখে ভালোবাসার ছবি বানাবার একটা পাঁয়তারা কিংবা আয়োজন আছে! তোমাকে যেমন বেঁধে রেখে ছবি বানানো হচ্ছে, তেমনই ছবিটাকেও বেঁধে ও বাঁধিয়ে রাখা হচ্ছে ব্যবস্থাপনার পণ্য-বন্দোবস্তে ফেলবার জন্য। বেলুন ও কম্পিউটার আজকাল মাটি কিংবা মাঠের ফসলাদির খুব বাইরে থাকছে! এতে করে শিশুর সাথে মাঠের শ্রমিকের দূরত্ব বেড়েই চলেছে। কর্মিষ্ঠ লোকের হাত-পায়ের ছন্দটি রঙ ও রেখার বিষয় হয়েও কর্মিষ্ঠের শ্রমের চাইতে রঙ-রেখার গুরুত্বটা অধিক লাগছে! কিন্তু তোমার চাইতে তোমার ছবি কিংবা ভাস্কর্যের মূল্যটা বেশি বড়ো হয়ে উঠলে তুমি-আমি দু’জনেই নিহত হই। শুধু ছবির জন্য দেয়াল-গ্যালারি আর ভাস্কর্যের জন্য আকাশের স্পেস চাইলেই চোখ জুড়াবে না। তোমার ছবিটা দেয়ালে-গ্যালারিতে বেড়াতে আসতে পারে যাতে তুমি আর দেয়ালে দেয়ালে আটকে না থাকো। ভাস্কর্যটি আকাশের স্পেস নিয়ে ভূমিকা রাখতে পারে যাতে করে তুমি মহাকাশের খোলামেলা সাধটুকু পাও। সূর্যমূখী দূর্গা আর তার দশহাতি শক্তিরূপের সামনে দাঁড়িয়ে কিষানীর কন্যা যেনো শুধুমাত্র দূর্গামুখী না থেকে দূর্গা-অপেক্ষা আরো বিপুল শক্তি পায় — সেজন্য ছবি আরো প্রবল মুক্তমুখী কিষাণকন্যামুখী হতে পারে। তখনই কন্যা, দূর্গা, সূর্য ও কিষাণীর একটা সহজ ও মহান ঐকতান রচিত হতে পারে। কখনো কন্যার জায়গায় সূর্যকে, সূর্যের জায়গায় কন্যাকে বসিয়ে — দূর্গার জায়গায় কিষাণীকে আঁকতে হতে পারে। আর তা মহাপৃথিবীর মধ্যকার অস্তিত্বগুলির ভেতরের কমিউনিকেশন থেকেই ঘটতে পারে। আর তা শ্রমলগ্ন সাম্যের ঐকতানে পৌঁছাতে পারে। সেই ঐকতানে মাঠ-নদী-পাহাড় ও আকাশ — ফল ও ফসল-ভরতি কীর্ত্তণে একযোগে গাইতে থাকবে। নাচতে থাকবে। এই নাচ রঙে-রেখায় স্পষ্ট থেকে আরো স্পষ্টতর হতে থাকবে। ফল ও ফসলের প্রসাদটুকু যেনো হনুমানও সমান সমান পায়। নাচে-গানে তাকেও তো ডাকা চাই। হাতি-ঘোড়া-হনুমান ওরাতো কেবল আজ্ঞাবহ হয়ে থাকতে পারে না। তালপাখার আদর আর আদরের তালপাখা কার হাতে? সুবাতাস কার মুখে? শ্রমিকের মুখে তালপাখা-বাতাসের আদর-আঁকা ছবি কে আঁকবে? সে জবাব ইনস্টিটিউটের কাছে চাইবার নয়। নিজেদেরই আঁকতে হবে। শ্রমিক নিজেই যেনো আঁকতে পারে, শ্রমিক ও শ্রমমনস্ক শিল্পীর সেই দায়টুকু থাকা চাই। শ্রমিকনারীর আঁচলে কিংবা এ্যাপ্রোনে হরবোলা পাখির আগমন এবং উড়বার কিংবা ঘুরে বেড়াবার আনন্দ-বিলাপের ছবিটা কে আঁকবে? তা ওরা নিজেরাই আঁকবে। আমাদের ট্রাডিশনে এই আঁকাআঁকিটা ছিলোই। নকশীকরা কাঁথা-বালিশে পাখির সন্বন্ধটা বহু যুগ নিভৃতে কেঁদেছে। এদেশে কান্নারত স্বাপ্নিক মেয়েরাই ওসব এঁকেছে। আজ তাতে সকল অস্তিত্বের অধিকার আদায়ের বিদ্রোহের তীব্রতাটুকু আনা চাই। এতো এতো কান্না-বিলাপের জল শুকাতে না শুকাতেই ওদিকে মিডিয়ার পণ্যবাদীরা-বাণিজ্যবাদীরা একে একে দখল করছে কান্না-বিলাপের জলে আঁকা সব পাখি ও পাখার ছবি। আমাদের চোখের সামনেই তো ঘটছে এসব। আর আমাদের চোখের সামনেই তো মানুষ কিংবা পাখি-পাখালির জীবন-মৃত্যুর সকল আনন্দ-আর্তি। এই আনন্দ-আর্তির সামনে পিছনে প্রতিমুহূর্তের সংগ্রাম ও ভালোবাসা। মুহূর্তকে আঁকবার কিংবা ধরবার বিষয়টা একইসাথে সচেতন ও উদাসীন। কিন্তু আপনা-আপনি, এই আপনা-আপনিতে আজ আরো স্পষ্ট ও সত্য-সজাগ হওয়া চাই। ছবি তো সত্যের মুহূর্তকে, মুহূর্তের সত্যকেই ধরে। রঙ, রঙ-ধনু এবং রঙ-ধনুক — এ তিনের ভিতরের সত্যটি আসলে কি? বন-জঙ্গল ঘুরে ফিরে তীর-ধনুকের চোখে বিদ্ধ হয়েছে ময়ূর-ময়না-টিয়া রঙের বুক। মানুষের চোখে কখনো তা রঙধনু হয়ে দেখা দিয়েছিল বুঝি! তা নইলে, চোখকে তীর-ধনুকের মতো করে হত্যাকারীকে ঘৃণা না করে তাকে শুধু রঙ দেখাচ্ছো কেনো? যদি রঙ দেখাতে হয় তবে তাতে সুন্দরের জন্যেই মর্ম আনো, আর অসুন্দরের জন্য ঘৃণা ছুঁড়ে মারো। আমাদের চোখের সামনে লক্ষ বছরের অতীত কিংবা আরো বেশিদিনের ভবিষ্যতটুকু, আর এসবের অন্তরালটুকু ধরা পড়তে পারে রেখা ও রঙের মুহূর্তে, মুহূর্তের গতিতে। আর এই মুহূর্তের প্রকাশটা এমন রূপবান এমন প্রজ্জ্বলন্ত হয়ে উঠতে পারে যাতে করে লক্ষ বছরের গভীর অন্ধকারটুকু আরো আলোকিত ভঙ্গিমায় হেসে ওঠতে পারে, জয় কিংবা প্রাপ্তির আনন্দে কখনো তা কেঁদে ফেলতে পারে, সবধরণের দমবদ্ধতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জ্বলে ওঠতে পারে। কখনো খুব সাধারণের আনমনে আঁকা ছবিতে কিংবা আমাদের এস.এম. সুলতানের আলোকিত ভঙ্গিমায় এই ইশারাটুকু, ইশারার জাগরণটুকু কিছুটা টের পাওয়া যায়। অস্ফুটের আরো কান্নাটুকু, আরো হাসিটুকু, বিদ্রোহটুকু, বিদ্রোহের আরো শক্তিটুকু ছড়িয়ে পড়তে পারে সমস্ত চরাচরব্যাপী।
এই তো গতকাল , ৩০ জুন, সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসে কফিল আহমেদ ছবি এবং শব্দসহ একটা ফেইসবুক পোস্ট শেয়ার করেন। ছবিটা বহু প্রচলিত, ১৮৫৫ সালের ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধের সাঁওতাল বিদ্রোহের। আর শব্দে লিখলেন, ‘দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কি সাঁওতাল বিদ্রোহের কথা পড়ানো হয়? দেশের কৃষি অফিসে, ভূমি অফিসে কি সাঁওতাল বিদ্রোহের ছবি টাঙানো আছে?/ অথচ এদেশের ঘরে ঘরে সাঁওতাল বিদ্রোহের এই দিবসটাই পালিত হবার কথা ধানে-ধনুকে! . . .’ কফিল আহমেদ এইভাবে দেখেন এবং দেখান যা আমাদের চোখের সামনে থাকে এবং থাকার পরও যেইটা আমরা দেখতে পারি না বা দেইখাও দেখি না, মাথা ঘামাই না। ‘যা আমাদের চোখের সামনে থাকে’ নন-ফিকশনে কফিল আহমেদের শব্দযুক্ত দৃশ্য ‘দেইখাও না দেখার’ অভ্যস্থতায় আরামের ভঙ্গিতে একটা বেআরাম দিতে থাকে, মগজের ভেতর গজ-গজ অনুভূতি তৈরি করতে থাকে, দেখতে অনভ্যস্ত তাকানোর মধ্যে প্রশ্ন তৈরি করতে থাকে। তাকানো দেখার দিকে যেতে থাকে, জন বার্জারের ‘ওয়েস অব সিয়িং’য়ের মতো। কফিল আহমেদ যেমন তার ও তাদের ‘চাঁদ খুঁজে পাবে’ গানে গলায় চড়ান, ‘আর দেখি, আরো দ্যাখো/ আরো দেখি, আরো দ্যাখো . . . এই হনুমান কি জানে/ ভালোবাসি তোমারে’
গায়েন, কবি, লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট — যেই ফর্মেই আপনি কফিল আহমেদকে দ্যাখেন কিংবা তার দেখা এক্সকেভেট করেন, আপনার খেয়ালে আসবে উনি ক্যামন জানি ফর্মের প্রচলিত নাটবল্টুতে একটা নাড়ানি-ঘুরানি দেন অথবা প্রচলনে চালু আছে কিন্তু মার্জিনাল, এমন ফর্মের সাথে নিজের ডায়ালেক্টিক্যাল সংযোগ এবং সঞ্চালন ঘটান। ‘যা আমাদের চোখের সামনে থাকে’ সেরকম একটা নন-ফিকশন। একটা একক প্যারাগ্রাফ। এটা একটা পুরানা লেখা, মানুষ লিটল ম্যাগাজিনে ২০০০ সালে প্রকাশ পায়। ২০১৯ সালে গ্রন্থিত হয় রোজ তাই কথা বলে আমার কবি সংকলনে এবং সেই সুবাদে লেখার সাথে আমার কমিউনেকশন হয়; কফিল আহমেদ যেমন বলেন ‘আন্তকমিউনিকেশন’। আর তাতে বাজতে থাকে কফিল আহমেদের মাসানোবোফুকোওকা গানের লাইন ‘ছবিটার কথা বলি না কারণ/ ছবিটা তো শুধু আঁকা/ ছবিটা কি শুধু আঁকা!?’
কাভার ফটো: কফিল আহমেদের আঁকা ‘হায় আমার পাঁজর কোপানো দিন’র ফটোগ্রাফ।