এই গল্পটার অ্যামেরিকান পুরুষ ক্যারেক্টারের মধ্যে একটা বাংলাদেশী পুরুষের মন দেখা যায় আর স্প্যানিশ মেয়েটার প্রতিরোধের মধ্যেও একটা বাংলাদেশি নারীর স্বর ছলকে উঠে। আসলে হেমিংওয়ের এই ছোটগল্পটায় দেশ-কাল-সীমানার গণ্ডি ছাড়ায়ে হেটারোসেক্চুয়াল সম্পর্কের ডাইনামিক্স আর ক্লাইমেক্স সাবটেক্সটের ডুব থেকে ভেসে ওঠে কনটেক্সটে। অ্যাবর্সন মূল বিষয় হলেও কোথাও অ্যবর্সন শব্দটা নাই, প্রেগনেন্ট শব্দটা নাই বরং অনেক রূপক, প্রতীক যেমন: হিলস বা পাহাড় প্রেগন্যান্ট নারীর পেট, হোয়াইট এলিফ্যান্ট বা সাদা হাতী খরুচে জিনিষ – অ্যাবর্সনের জন্য অপারেশন, ঝলমলে সূর্যের দিনের বাদামী-ধুসরতা মানসিক অবস্থা, ট্রেনের জন্য স্টেশনে অপেক্ষা সিদ্ধান্তের ঝুলন্ততা এরকম রূপকের ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু গল্পটার মজা কনটেন্টের চাইতে এর ফর্মে, ক্রাফটিংয়ে। পুরাপুরি সংলাপ নির্ভর গল্পটায় কখনো কখনো সংলাপের বাক্য সঙ্গতিহীন মনে হতে পারে, কিন্তু গল্পের সেটিংস আর সাবটেক্সেটের ইশারা সঙ্গ দিতে পারে বোঝাবুঝিতে। বোঝাবুঝিতে শহীদ কাদরির কবিতার লাইনও উঁকি দিতে পারে পাঠক মনে – “প্রেমিক মিলবে প্রেমিকার সাথে ঠিক-ই/শান্তি পাবে না, পাবে না, পাবে না …”
আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ১৯২৭ সালে প্রকাশিত ছোটগল্প সংকলন Men Without Women য়ে সংকলিত হয়েছিল গল্পটি। মূল ইংরেজি গল্প Hills Like White Elephants থেকে অনুবাদ করেছেন শামীমা বিনতে রহমান
এব্রো নদীর উপত্যকায় পাহাড়গুলা লম্বা আর সাদা। এইদিকে কোন ছায়া এবং গাছ নাই, এবং স্টেশনটা দুই রেললাইনের মাঝখানে। স্টেশনের পাশে বার-বিল্ডিংয়ের ছায়ায় একটা গরম ছায়া আছে এবং ঢোকার দরজার মুখে বাঁশের পুঁতি লম্বা সুতায় গাঁথা দড়ির মতো ঝুলে আছে পর্দা হয়ে, যেন মাছি ঢুকতে না পারে। আমেরিকানটা এবং তার সাথে থাকা মেয়েটা বারের বাইরে, ছায়ার নিচে একটা টেবিল নিয়ে বসলো। এটা খুবই গরম একটা দিন এবং ৪০ মিনিটের মধ্যে বার্সেলোনা ছেড়ে আসা ট্রেনটা চলে আসার কথা। দুই মিনিট এই স্টেশনে থেমে আবার মাদ্রিদের দিকে চলবে।
“আমরা কী ড্রিংক করবো?” মেয়েটা জিজ্ঞেস করলো। সে তার মাথা থেকে টুপিটা খুলে টেবিলের উপর রাখলো।
“খুব গরম” লোকটা বল্লো।
“চলো তাইলে বিয়ার খাই”।
“দুইটা বিয়ার,” লোকটা পর্দার ভেতর মুখ নিয়ে স্প্যানিশ ভাষায় বল্লো।
“বড়গুলা?” দরজার দিক থেকে একজন নারী জিজ্ঞেস করলো।
“হ্যা, দুইটা বড় সাইজ”।
ওয়েট্রস নারীটা দুই গ্লাস বিয়ার এবং বিয়ার-গ্লাস রাখার জন্য দুইটা ফেল্ট প্যাড নিয়ে আসলো। সে ফেল্ট প্যাডের ওপর বিয়ারের গ্লাস দুইটা রেখে লোকটা আর মেয়েটাকে দেখল। মেয়েটা পাহাড়ের টানা রেখার দিকে তাকায় ছিল। সূর্যের আলোতে সেগুলা সাদা দেখাচ্ছিল আর জায়গাটা লাগছিল ধুসর আর শুস্ক।
“ওইগুলাকে সাদা হাতির মতো দেখাচ্ছে,” মেয়াটা বল্লো।
“আমি এরকমটা কখনো দেখি নাই,” লোকটা বিয়ারে চুমুক দিলো।
“না, এরকম তো তোমার হবে না”।
“হৈতে পারে আমার,” লোকটা বল্লো। “আমার হবে না বইলা জাস্ট তুমি যা বল্লা, এইটা দিয়া কিছুই প্রমাণ হয় না।”
মেয়েটা বাঁশের পুঁতির দিকে তাকাল। “এগুলার ওপরে কিছু একটা পেইন্ট করা,” সে বল্লো। “কি বলে এইটাকে?”
“অ্যানিস ডেল তোরো। এইটা একটা ড্রিংক”।
“আমরা কি ট্রাই করবো?”
লোকটা পর্দার দিকে ডাকলো “শুনেন”
ওই নারীটা বের হয়ে এসে বল্লো,
“চার রিয়েল।”
“আমরা দুই গ্লাস অ্যানিস ডেল টোরো চাই”।
“সাথে পানি?”
“তুমি কি এটার সাথে পানি চাও?”
“আমি জানি না,” মেয়েটা বল্লো। “এইটা কি পানির সাথে ভালো যায়?”
“একদম”।
“তোমরা কি পানি দিয়ে চাও?” নারীটা জিজ্ঞেস করলো।
“হ্যা, পানি দিয়ে”।
“এইটার স্বাদ তো যষ্ঠিমধুর মতো,” টেবিলে গ্লাস রেখে বল্লো মেয়েটা।
“সবকিছুর সাথে এইভাবেই যায়।”
“তাই -ই তো,” মেয়েটা বল্লো। “সবকিছুর স্বাদই যষ্ঠিমধুর মতো। স্পেশালি যখন তুমি কোন কিছুর জন্য একটা লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করো, যেন অ্যাবসিন্থ।”
“ওহ! বাদ দাও”।
“তুমিই তো শুরু করলা,” মেয়েটা বল্লো। “আমি চারপাশ নিয়ে মুগ্ধ ছিলাম, একটা দারুণ সময়ের মধ্যে ছিলাম”।
“আচ্ছা বুঝছি, চলো ভালো সময় কাটানোর ট্রাই্ করি”।
“ঠিক আছে। আমি চেষ্টা করতেসি। আমি বলসিলাম যে পাহাড়গুলা সাদা হাতির মতো দেখাচ্ছিল। ওরা অনেক ঝলমলে সুন্দর না?”
“হ্যা, সুন্দর।”
“এই নতুন ড্রিংকটাই আমি ট্রাই করতে চাইসিলাম। এসবই তো আমরা করি – নানা জিনিষ দেখি আর নতুন-নতুন ড্রিংক ট্রাই করি, তাই না?”
“আমারও তাই মনে হয়।”
মেয়েটা পাহাড়ের দিকে তাকাল। “পাহাড়গুলা সুন্দর,” মেয়েটা বল্লো। “ওদের দেখতে আসলে সাদা হাতীর মতো মনে হয় না। আমি জাস্ট গাছের ভিতর দিয়া পাহাড়ের ওপরের যে রঙ দেখা যাচ্ছে, সেটাই বুঝাইতেসি। “আমরা কি আরেকটা ড্রিংক নিবো?”
“হ্যা, নিই আরেকটা”
গরম বাতাস টেবিলের উল্টাদিকের পুঁতির পর্দাটায় বয়ে গেল।
“বিয়ারটা বেশ, ঠান্ডা” লোকটা বল্লো
“এটা দারুণ” মেয়েটা বল্লো
“এটা খুবই সাধারণ একটা অপারেশন, জিগ,” লোকটা বল্লো। “এটা আসলে কোন অপারেশনই না।”
মেয়েটা নিচে টেবিলের পায়াগুলার দিকে তাকায় থাকলো।
“আমি জানি তুমি মাইন্ড করবা না, জিগ। এটা আসলে কিছুই না। জাস্ট বাতাসটা ভিত্রে আসতে দিবা।”
মেয়েটা কিছু বল্লো না।
“আমি তোমার সাথে যাবো এবং তোমার সাথেই থাকবো পুরা সময়। জাস্ট বাতাসটা ভিত্রে নিতে দিতে হয়, তারপর সবটাই ন্যাচারাল।”
“তারপর আমরা কী করবো?”
“তারপর আমরা খুঁতহীন নিটোল হয়ে যাবো, আগে যেমন ছিলাম।”
“ কি কারণে তোমার এমন মনে হচ্ছে?”
“এটাই একমাত্র জিনিষ যেটা আমাদের ঝামেলা করতেসে। আমাদের অসুখী থাকার কারণও এইটা।”
মেয়েটা পুঁতির পর্দার দিকে তাকাল, হাত বের করে পর্দায় ঝুলে থাকা দুইটা পুঁতির স্ট্রিং ধরলো।
“তো তাইলে তুমি বলতেস এরপর আমরা খুঁতহীন নিটোল হবো, সুখী হবো।”
“আমি জানি আমরা হবো। তোমার ভয় পাওয়ার কিছু নাই। আমার জানা অনেকেই এমন করসে।”
“আমারো তাই মনে হয়,” মেয়েটা বল্লো। ”এবং তারপর তারা সবাই খুবই সুখী হৈসে।”
“আচ্ছা, বুঝছি,” লোকটা বল্লো, “তুমি যদি না চাও, তোমার করার দরকার নাই। যদি তুমি না চাও, আমি চাই না তুমি এটা করো। কিন্তু আমি জানি, এইটা একদমই সিম্পল একটা ব্যাপার।”
“এবং তুমি সত্যি এটা চাও?”
“আমার মনে হয় এটাই সবচে ভালো উপায়। কিন্তু আমি চাই না তুমি এটা করো যদি তুমি সত্যিই না চাও।”
“আর আমি যদি এইটা করি তুমি তাইলে সুখী হবা এবং আগে যেরকম ছিল সবকিছু সেইরকম হবে এবং তুমি আমাকে ভালোবাসবা?”
“আমি তোমাকে এখনো ভালোবাসি। তুমি জান আমি তোমাকে ভালোবাসি।”
“আমি জানি। কিন্তু আমি যদি এটা করি, তাইলে সবকিছু আবার দারুন হবে, যদি আমি বলি ব্যাপারটা সাদা হাতীর মতো, তাইলে সেটা কি তুমি পছন্দ করবা?”
“আমি এটা খুবই পছন্দ করবো। আমি এখনও পছন্দ করতেসি কিন্তু এটা নিয়া কিচ্ছু ভাবতে পারতেসি না। তুমি তো জান দুশ্চিন্তায় পড়লে আমার কী হয়।”।
“আমি যদি এটা করি তাইলে তুমি কখনো আর দুশ্চিন্তা করবা না?
“আমি এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবো না কারণ এটা পারফেক্টলি সিম্পল একটা ব্যাপার।”
“তাইলে আমি এটা করবো। কারণ আমি আমাকে কেয়ার করি না।”
“মানে কি?”
“মানে আমি আমার নিজেরে কেয়ার করি না।”
“ আমি তোমারে কেয়ার করি।”
“ওহ, হ্যা। কিন্তু আমি আমার নিজেরে কেয়ার করি না। এবং আমি এটা করবো এবং তখন সবকিছুই ঠিকঠাক হয়ে যাবে।”
“যদি তুমি ওইভাবে ভাবো তাইলে আমি চাই না তুমি এটা করো।”
মেয়েটা উঠে দাঁড়ালো এবং স্টেশনের শেষ মাথার দিকে হাঁটতে থাকলো। উল্টাদিকে, এব্রো নদীর পাড় জুড়ে শষ্যের ক্ষেত আর গাছপালা ছড়ানো। আরো দূরে, নদীরও পরে পাহাড়। একটা মেঘের ছায়া শষ্যের ক্ষেতের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল এবং সে গাছের ফাঁক দিয়ে সে নদী দেখছিল।
“এবং আমরা এই সবকিছুই পেতে পারতাম” সে বল্লো। “এবং আমাদের এই সবকিছুই থাকতে পারতো এবং প্রতিদিন আমরা একে আরো বেশি অসম্ভব করে তুলতেসি।”
“কি বল্লা তুমি?”
“আমি বল্লাম এই সবকিছু আমাদের হতে পারতো।”
“সবকিছু আমরা পেতে পারি।”
“না, আমরা পারি না।”
“আমরা পুরা পৃথিবী পেতে পারি।”
“না, আমরা পারি না।”
“আমরা সবখানে যেতে পারি।”
“না, আমরা পারি না। এটা এখন আর আমাদের না।”
“এটা আমাদের।”
“না, আমাদের না। এবং একবার যখন তারা এটা বের করে নিয়ে যাবে, আমরা আর কখনোই তা ফেরত পাবো না।”
“কিন্তু তারা এটা নিয়ে যায় নাই”
“আমরা অপেক্ষা করবো এবং দেখবো।”
“ছায়াতে ফিরে আস” লোকটা বল্লো। “তোমার এইভাবে ফিল করাটা ঠিক না।”
“আমি কোনভাবেই কিছুই ফিল করতেসি না,” মেয়েটা বল্লো। “আমি জাস্ট জানি বিষয়গুলা।”
“আমি চাই না এমন কিছু তুমি করো যা তুমি নিজে চাও না করতে।”
“আমার জন্য এইটাও ভালো না,” মেয়েটা বল্লো। “আমি জানি। আমরা কি আরেকটা বিয়ার খাবো?”
“খাওয়া যায়। কিন্তু তোমাকে ব্যাপারটা বুঝতে হবে -”
“আমি বুঝতেসি,” মেয়েটা বল্লো। “আমরা কি এইসব নিয়ে কতাবার্তা বন্ধ করতে পারি?”
তারা টেবিলে বসলো এবং মেয়েটা উপত্যকার শুষ্ক পাশের পাহাড়ের দিকটায় তাকালো আর লোকটা তাকালো মেয়েটার দিকে আর টেবিলে।
“তোমাকে বুঝতে হবে,” লোকটা বল্লো, “ বুঝতে হবে যে আমি চাই না তুমি এটা করো যদি তুমি না চাও। আমি পারফেক্টলি এইটার সাথে যাইতে চাই যদি এটা তোমার কাছে মিনিংফুল কিছু হয়।”
“এইটা কি তোমার কাছে কিছুই মিন করে না? আমরা একসাথে পাইতে পারি।”
“অফকোর্স এইটা মিন করে। কিন্তু তোমাকে ছাড়া আমি আর অন্য কাউকে চাই না। আমি আর কাউকেই চাই না। এবং আমি জানি এইটা একদমই সিম্পল।”
“হ্যা, তুমি জানো এইটা খুবই সিম্পল একটা ব্যাপার।”
“এইভাবে বলাটা তোমার জন্য খাটে, কিন্তু আমি জানি ব্যাপারটা সিম্পলই।”
“তুমি কি আমার জন্য একটা কিছু করতে পার এখন?”
“আমি তোমার জন্য যে কোন কিছুই করতে পারি।”
“তুমি কি প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ কথা বলা বন্ধ করতে পার?
লোকটা কোন কথা বল্লো না কেবল স্টেশনের দেয়ালে ঠেস দিয়ে থাকা ব্যাগগুলার দিকে তাকায় থাকলো। যতগুলা হোটেলে তারা একসাথে ছিল, ব্যাগগুলার মধ্যে সেইসব হোটেলের লেবেল লাগানো ছিল।
“কিন্তু আমি চাই না তুমি ইচ্ছার বিরুদ্ধে কর,” লোকটা বল্লো, “আমি এই ব্যাপারে কোন কিছুই কেয়ার করি না।”
“আমি কিন্তু চিৎকার দিবো এবার” মেয়েটা বল্লো।
পর্দার ভেতর থেকে দুই গ্লাস বিয়ার নিয়ে ওয়েট্রেস নারী বের হয়ে আসলো এবং সেগুলো ড্যাম্প হয়ে যাওয়া ফেল্ট প্যাডের ওপর রাখলো।
“পাঁচ মিনিটের মধ্যে ট্রেন চলে আসবে,” ওয়েট্রেস নারী বল্লো
“কি বল্লো সে?” মেয়েটা জিজ্ঞেস করলো।
“সে বল্লো পাঁচ মিনিটের মধ্যে ট্রেন আসতেসে।”
মেয়েটা ঝলমলে একটা হাসি দিলো ওয়েট্রেস নারীর দিকে, ধন্যবাদের মতো করে।
“আমি বরং ব্যাগগুলা স্টেশনের ওই পাশটায় নিয়ে যাই,” লোকটা বল্লো। মেয়েটা তার দিকে তাকায়া হাসলো।
“আচ্ছা, ঠিকাছে। আসো, তারপর একসাথে আমরা বিয়ার শেষ করবো।”
লোকটা ভারী দুইটা ব্যাগ তুল্লো এবং সেগুলা স্টেশনের আরেকপাশের ট্র্যাকে নিয়ে রাখলো। সে ট্র্যাকের দিকে তাকালো এবং ট্রেন দেখতে পেল না। ফেরার সময় সে বাররুমের ভেতর দিয়ে হেঁটে ফিরলো, যেখানে লোকজন বিয়ার খাইতে খাইতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছে। সে একটা অ্যনিস শট নিলো এবং লোকজনের দিকে চোখ বুলায়ে দেখলো। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে তারা ট্রেনের জন্যই অপেক্ষা করছে। পুঁতির পর্দা দিয়ে সে বাইরে বের হয়ে আসলো। মেয়েটা টেবিলে বসেছিল এবং তার দিকে তাকায়া হাসলো।
“এখন কি বেটার ফিল করতেস?” লোকটা জিজ্ঞেস করলো।
“আমি ঠিক আছি, ফাইন,” মেয়েটা বল্লো। খারাপ লাগার মতো কিছু হয় নাই আমার সাথে। আমি পুরাই ঠিকঠাক আছি।”
ইংরেজিতে মূল গল্পটা পড়তে চাইলে, এইখানে ক্লিক:
ফিচারড ইমেজ: শামীমা বিনতে রহমান